চিকিৎসক লাঞ্ছনা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, কর্মবিরতি স্থগিত

৪ জুলাই ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি কাজী তরিকুল ইসলামসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে চিকিৎসকেরা রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। এতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) গোপালগঞ্জ জেলা শাখার কর্মকর্তারা সমর্থন জানান। সেই সঙ্গে ৭ জুলাই থেকে জেলার সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া বন্ধের ঘোষণা দেন তাঁরা। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় তরিকুলকে পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের মোল্লাহাট থেকে গ্রেপ্তার করে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে পুলিশ মামলার অপর আসামি রিয়াজুল কাজীকে (২২) গ্রেপ্তার করে।
শনিবার সকালে এক রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনি সেখানে মারা যান। চিকিৎসায় অবহেলা ছিল অভিযোগ তুলে দায়িত্বরত চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন বলেন, ‘কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আমরা শুধু আউটডোরের চিকিৎসা বন্ধ রেখেছিলাম। অন্য সব সেবা চালু ছিল। প্রধান আসামিসহ দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর আমরা আউটডোরের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’