রোগী ভর্তি সংকট কাটাতে হাসপাতালগুলোতে নেটওয়ার্কিংয়ের পরামর্শ

শুক্রবার (১০ জুলাই) পরামর্শক কমিটির ১৪তম অনলাইন সভায় এসব সুপারিশের প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়। সন্ধ্যায় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি মনে করে, কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যা ও মানোন্নয়নের জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষাগারের সংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে পরীক্ষাগারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা বেশি প্রয়োজন। অটো-এক্সট্র্যাকশন মেশিনের সাহায্যে পরীক্ষাগারে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়া কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়ার পর পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির প্রস্তাবনায় অ্যান্টিজেন বেজড কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমতির জন্য ওষুধ প্রশাসনকে পরামর্শ দেওয়া হয়। যাতে করে দ্রুত কোভিড-১৯ পরীক্ষার সুযোগ প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। টেকনিক্যাল কমিটি মনে করে, আরটি পিসিআর টেস্টিং কিট একই প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে মাল্টিপল সোর্স থেকে সরবরাহের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যাতে কিটের সংকট তৈরি না হয়। এছাড়াও একই ধরনের টেস্টিং কিটের পরিবর্তে অধিকতর উন্নত এবং সুলভ মূল্যের টেস্টিং কিট জোগাড়ের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সভায় বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও কোভিড-১৯ আক্রান্ত নন এমন প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ইউনিট করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রবীণদের জন্য সহজভাবে অথবা বিশেষভাবে কোভিড-১৯ পরীক্ষা, সম্ভব হলে বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
সরকারিভাবে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ক্রয় প্রক্রিয়াধীন। ওই ক্রয় প্রক্রিয়ায় সঠিক মাননিয়ন্ত্রণ ও সঠিক মূল্যে ক্রয় নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন প্রস্তুতের বিষয়টিকে জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটি স্বাগত জানায়। তবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রস্তুতের ক্ষেত্রে কমিটির পরামর্শ, ভ্যাকসিন প্রস্তুত অথবা আবিষ্কার অবশ্যই সরকার, বিএমআরসি ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনক্রমে এবং ভ্যাকসিন প্রস্তুতে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।