বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক কারবারি নিহত

সৈয়দ আলম বর্তমানে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ায় বসবাসরত মো. সৈয়দ আহম্মদের ছেলে। তবে তাঁরা মিয়ানমারের মংডু শহরের বালুখালীর বাসিন্দা। ১০ বছর আগে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ঢুকে টেকনাফ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস শুরু করেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ভাষ্য, সৈয়দ আলম মাদক কারবারি ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র এবং একটি তাজা কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খানের ভাষ্যমতে, উপজেলার হ্নীলায় দমদমিয়া সীমান্ত চৌকির দায়িত্বপূর্ণ টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন ১৪ নম্বর সেতুর কাছাকাছি কেয়ারি খাল এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২ বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল সেখানে গিয়ে কৌশলগত অবস্থান নেয়। রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে টহলদল দূর থেকে দুজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খালের পাড়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। কিছুক্ষণ পর টহল দলটি একজন ব্যক্তিকে সাঁতরে মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে দেখে। ওই ব্যক্তি খালের মুখে আসার সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকে অপেক্ষমাণ লোকজনের কাছে এগিয়ে যান। সে সময় টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা খালের আড় ব্যবহার করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে টহলদল তাদের ধাওয়া করলে সশস্ত্র ইয়াবা কারবারিরা বিজিবি সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এতে দুজন বিজিবি সদস্য আহত হন। তখন বিজিবির সদস্যরা সরকারি সম্পদ এবং নিজেদের জানমাল রক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন।
মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৩/৪ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। ইয়াবা কারবারিরা গুলি করতে করতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে খালের আড় ব্যবহার করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ থামার পর ঘটনাস্থলে একজন ইয়াবা কারবারিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। বিজিবির আহত দুজন সদস্য ও গুলিবিদ্ধ কারবারিকে উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাদক কারবারিকে জরুরি চিকিৎসা সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।