অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের তিন নারী সদস্য আটক

পুলিশ জানায়, মাহিনুর বেগম বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লামছড়ি এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু সে নগরীর ভাটিখানা এলাকার কবির মঞ্জিলের ভাড়া ফ্ল্যাটে অপর আটককৃতদের নিয়ে বাস করতো। স্বর্ণা হাওলাদার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নলুয়া এলাকার বাসিন্দা এবং ফেরদৌসি আক্তার রুমা বরিশাল নগরীর ভাটিখানার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে উপপুলিশ কমিশনার জানান, গত ১০ জুলাই নগরীর ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী হাসান খানের কাছ থেকে মাহিনুর এক কেজি আম ক্রয় করে। ফল ক্রয়ের পরে ওই নারী হাসান খানকে ফোনে জানায় তার ক্রয়কৃত আম পঁচা এবং তার আরও তিন কেজি আমের প্রয়োজন। এরপর ওই নারী তিন কেজি আম ক্রয় করে এবং টাকা নেই জানিয়ে ফল ব্যবসায়ীকে বাসায় নিয়ে যায়।
এরপর পরস্পর যোগসাজেশে মাহিনুর তার ফ্লাটের অপর বাসিন্দা এবং সহযোগী স্বর্ণা হালদার ও ফেরদৌসি আক্তার রুমা ফল ব্যবসায়ী হাসানকে ফাঁদে ফেলে। তারা বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকার চরহোগলা গ্রামের নাদিম হাওলাদার নামে এক যুবকের সহায়তায় ব্যবসায়ীর জামা-কাপড় খুলে মোবাইলে অশালীন ছবি ধারণ করে জিম্মি করে।
পরে তার কাছে চক্রটি ২ লাখ টাকা দাবি করে, অন্যথায় অশালীন ছবি ও ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী ১১ হাজার টাকা দিয়ে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পান। বিষয়টি থানা পুলিশ জানতে পারলে কৌশলে অভিযান চালিয়ে তিন নারীকে আটক করে এবং নাদিম পালিয়ে যায়।
উপ-পুলিশ কমিশনার খায়রুল আলম বলেন, ‘এরা একটি চক্র। আরও অনেকের সঙ্গে এর আগে এ রকম করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবদে স্বীকার করেছে। তাদের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জাকারিয়া রহমান জিকু, সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল হালিম, কাউনিয়া থানার ওসি আজিমুল করিম, ওসি (অপারেশন) হিরন্ময় সরকার, ওসি-তদন্ত সগির হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।