সীমান্ত পেরিয়ে নিখোঁজ, ছয় দিন পর নদীতে মিললো লাশ

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে নুরুদ্দিনসহ কয়েকজন চোরাকারবারি অবৈধভাবে ভোলাহাটের জেকে পোল্লাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল তারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এলাকায় গুঞ্জন ওঠে নুরুদ্দিন ভারতীয় সুখনগর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে মারা গেছে এবং স্থানীয় জেলেরা ভারতীয় অংশে তার মরদেহ মহানন্দা নদীতে ভাসতে দেখেছে এবং ওইদিন রাতে গোলাগুলির শব্দও তারা শুনতে পায়।
নুরুদ্দিনের বাবা দুরুল হোদা ও তার ছোট ভাই দেলোয়ার অভিযোগ করেন, এ খবর বিজিবিকে জানানো হলেও মরদেহ উদ্ধারে বিজিবি কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উল্টো বিজিবি জানায় সীমান্তে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছে বিএসএফ। পরে আজ ভাসমান অবস্থায় নুরুদ্দিনের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। বিকালে তার পরিবার মরদেহটি শনাক্ত করে এবং নুুরুদ্দিনের বাম বুকে গুলির চিহ্ন দেখা যায়।
এ বিষয়ে ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান জানান, খবরটি জানার পর আমরা বিএসএফকে জানাই। তবে তারা অস্বীকার করে। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খোঁজ খবর নিয়েও নিশ্চিত হতে পারিনি। আজ মরদেহ উদ্ধারের পর নুরুদ্দিনের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে বিএসএফকে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান, এ ঘটনায় আমরা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠাই। বিকালে তার পরিবার মরদেহটি শনাক্ত শেষে নিশ্চিত করেন যে সেটি নুরুদ্দিনেরই মরদেহ। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।