বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির তদন্ত প্রতিবেদন আজ

গত ২৯ জুন রাজধানীর সদরঘাটের কাছে শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ‘এমভি ময়ূর-২’ এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমএল মর্নিং বার্ড’ পানিতে তলিয়ে যায়। সকালে মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ঢাকার সদরঘাটের দিকে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটিতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এই ঘটনায় এই পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
লঞ্চ ডুবির ঘটনায় মন্ত্রণালয় ওই দিনই সাত সদস্যের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। মন্ত্রণালয়ের বেধে দেওয়া সাত দিনের সময় শেষে সোমবার এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) রফিকুল ইসলাম খানকে আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা) রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা সংস্থাকে শনাক্তকরণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। সাতদিনের মাথায় সোমবার (৬ জুন) রাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
লঞ্চ দুঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে বড় আকারের লঞ্চ ময়ূর-২ হঠাৎ করেই ছোট আকারের লঞ্চ মর্নিং বার্ড-এর দিকে চেপে আসছিল। প্রথমে পেছনে বেপরোয়াভাবে ধাক্কা দিলে লঞ্চের ভেতরে সবাই ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। এর মাত্র ৬ সেকেন্ডের মাথায় আরেক ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়।
ওই দিন রাতেই নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল আলম বাদি হয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে সাত জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলো, এমভি ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন এবং সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চটি আটক হলেও গত সাত দিনে কোনও আসামি গ্রেফতার হয়নি। অভিযুক্ত লঞ্চের মালিক, মাস্টার ও চালক পলাতক রয়েছে।